কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন বেড়েছে

দেশে চলতি বছরের শুরু থেকেই চলছে ডলার সংকট। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এতে ধারাবাহিকভাবে কমছে রিজার্ভ। এসব সংকটের মধ্যেও অক্টোবর মাসে কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হয়েছে ৬০৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এর পরিমাণ বেড়েছে ৩৭৪ কোটি টাকা। ২০২১ সালের অক্টোবরে কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হয় ২৩১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে কার্ডে মোট ৩৮ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এর মধ্যে দেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার ৫৩০ কোটি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় ৬০৫ কোটি টাকা।

এদিকে দেশে ক্যাশ ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে অধিক আয়ের লোকজনের বিদেশে ভ্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ক্যাশ ডলারের চেয়ে কার্ডে ডলারের দাম কম হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত মে মাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার তাদের কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে। এরপরেও অনেকক্ষেত্রে অধিক আয়ের লোকজন বিদেশে ভ্রমণ আরও বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকেই কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন বাড়ছে। জুলাইয়ে কার্ডে লেনদেন হয় ৪৪০ কোটি টাকা। এরপরের মাসে আগস্টে ৫২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৫৮৫ কোটি টাকা এবং অক্টোবর মাসে লেনদেন হয় ৬০৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী, এক বছরে একটি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার ব্যয় করতে পারবেন একজন গ্রাহক। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা একই পরিবারের অধিকাংশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করছে।

গত ১২ জুলাই প্রথমবারের মতো খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। এরপরে ক্রমান্বয়ে দাম বাড়লে-কমলেও ১০ আগস্ট ডলারের দাম আরও বেড়ে দাড়ায় ১২০ টাকায়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেয়। পরবর্তীতে কিছুটা স্বস্তি ফেরে খোলা বাজারের ডলারের দামে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.