ফ্লাইট প্রশিক্ষন একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েশন পেলো ৫৩ পাইলট

সারাবিশ্বে এভিয়েশন শিল্প যখন পাইলট স্বল্পতায় ভুগছে তখন দুবাইয়ের এমিরেটস ফ্লাইট ট্রেনিং একাডেমী থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে বের হলেন ৫৩জন নতুন পাইলট।

দুবাইয়ে অবস্থিত এমিরেটস ফ্লাইট একাডেমি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যাডেটদের প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে। একাডেমিতে প্রশিক্ষনের জন্য ২৭টি আধুনিক উড়োজাহাজের একটি বড় বহর রয়েছে।

সম্প্রতি দুবাইয়ে আয়োজিত একাডেমির তৃতীয় গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষন সমাপ্তকারী পাইলটদের হাতে সনদ তুলে দেন এমিরেটস এয়ারলাইনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী শেখ আহমেদ বিন সাঈদ আল মাকতুম।

এবারের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একাডেমিটি ৩টি বিশেষ মাইলফলক অর্জন করেছে: ২০১৯ সালে বিদেশীদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত হবার পর প্রথমবারের মতো গ্র্যাজুয়েশন পেলেন অনামিরাতি ক্যাডেটরা, একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৫০ এর অধিক) ক্যাডেট গ্র্যাজুয়েন লাভ করলেন, এবং ২০২০ সালে থেকে অদ্যাবধি মোট ১০০ জনের অধিক ক্যাডেট প্রশিক্ষন নিয়ে বের হলেন।

ক্যাডেটরা মোট ৯০০ ঘন্টার কঠোর প্রশিক্ষন প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন, যার মধ্যে ছিলো গ্রাউন্ড ট্রেনিং এবং ২৫০ ঘন্টার ফ্লাইট ইনসট্রাকশন। সফলভাবে উত্তীর্নদের ইনটিগ্রেটেড এয়ার ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইন্সেস প্রদান করা হয়েছে।

অলিভার ওয়াইম্যানের সর্বশেষ গবেষনায় দেখা গেছে যে ২০২৫ সাল নাগাদ সারাবিশ্বে ৩৪,০০০ পাইলটের ঘাটতি দেখা দিবে। অবসরসহ অন্যান্য কারনে এই ঘাটতি ৫০,০০০ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। ২০২৩ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যে ৩,০০০ জন ও ২০৩২ সালে নাগাদ ১৮,০০০ পাইলটের ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বোয়িংয়ের হিসেব অনুযায়ী ২০৪১ সালে সারাবিশ্ব ৬০২,০০০ এবং শুধু মধ্যপ্রাচ্য ৫৩,০০০ পাইলট ঘাটতির মুখোমুখি হবে।

 

অর্থসূচক / এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.