অস্ট্রেলিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ছোট্ট শহর উইয়ামবিলায় এক নিখোঁজ ব্যক্তির বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে গিয়েছিল চার পুলিশ কর্মকর্তার ছোট একটি দল৷ কিন্তু যাওয়া মাত্রই তাদের ঘিরে ফেলা হয়৷ শুরু হয় প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ৷

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার রাতে কুইন্সল্যান্ডের খুব প্রত্যন্ত এলাকার এ ঘটনায় দুই পুলিশকর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন৷ বাকি দুই পুলিশকর্মকর্তাও গুরুতর আহত৷

কুইন্সল্যান্ড পুলিশ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ইয়ান লিভার্স ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ওরা সেখানে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই মুহূর্মুহু গুলি চলতে থাকে৷ তারা (আত্মরক্ষার) কোনো সুযোগই পায়নি৷ দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে৷

নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার একজনের নাম র‍্যাচেল ম্যাকক্রো, বয়স ২৬৷ ২৯ বছর বয়সি আরেক পুলিশ কর্মকর্তার নাম ম্যাথু আর্নল্ড৷ পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিচয় জানানো হলেও নিহত বাকিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ৷ এক বিবৃতিতে শুধু বলা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়া বাকি চার নিহতের তিনজনই সন্দেহভাজন৷ তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ আর একজন নারী৷ চতুর্থ ব্যক্তি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

কঠোর বন্দুক আইনের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় এমন ‘বন্দুকযুদ্ধ’ খুব বিরল ঘটনা৷ দেশটিতে ১৯৯৬ সাল থেকে অটোমেটিক এবং সেমি-অটোমেটিক সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণ নাগরিকের জন্য নিষিদ্ধ৷

উইয়ামবিলার এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ আখ্যা দিয়ে ইতিমধ্যে নিহত পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজ৷ এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ বিসর্জন দেয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য এ এক হৃদয়বিদারক দিন৷ শোকসন্তপ্তদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা… আপনাদের সঙ্গে সারা অস্ট্রেলিয়াই শোক পালন করছে৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.