জার্মানি থেকে ‘রক্তাক্ত প্যাকেজ’ ইউক্রেনে

সম্প্রতি কিয়েভের একাধিক বিদেশি দূতাবাসে একটি পার্সেল পৌঁছেছে। যার ভেতর রক্তাক্ত দেহাংশ মিলেছে। কেবলমাত্র ইউরোপীয় দেশের দূতাবাসগুলোতেই এই প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, দেশের একাধিক বিদেশি দূতাবাস ৩১টি এমন প্যাকেজ পেয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় জানা গেছে, সেগুলি জার্মানি থেকে গেছে। প্যাকেজগুলোর ভেতর পশুর চোখ আছে। চোখগুলি যাতে পচে না যায়, তার জন্য একটি তরল রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে।

কুলেবা জানিয়েছেন, প্রতিটি প্যাকেজেই প্রেরকের একই ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির বাডেন রাজ্যের একটি টেসলা ডিলারশিপের ঠিকানা ব্যবহার করেছে প্রেরক। পোস্ট অফিসের মারফত ওই প্যাকেজগুলি পাঠানো হয়েছে। প্রেরক জানতো যে, পোস্ট অফিসে কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো নেই। শুধু তা-ই নয়, প্যাকেজগুলিতে কোনোরকম হাতের ছাপ বা ডিএনএ-এর নমুনা যাতে না থাকে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে প্যাকেটগুলি পরীক্ষা করে কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না।

গত দুই দিন ধরে ইতালি, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, ডেনমার্ক এবং পোল্যান্ডের একটি শহরের ইউক্রেন কনসুলেটে এই প্যাকেজগুলি পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ১৫টি দেশ ৩১টি প্যাকেজ পেয়েছে। এরমধ্যে অস্ট্রিয়া একটি, ভ্যাটিকান একটি, ডেনমার্ক একটি, স্পেন পাঁচটি, ইতালি চারটি, কাজাখস্তান একটি, নেদারল্যান্ডস একটি, পোল্যান্ড ছয়টি, পর্তুগাল দুইটি, রোমানিয়া দুইটি, আমেরিকা একটি, হাঙ্গেরি দুইটি, ফ্রান্স একটি, ক্রোয়েশিয়া একটি, চেক রিপাবলিক দুইটি এমন প্যাকেজ পেয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করেছেন কুলেবা।

যে সমস্ত দেশের দূতাবাসে এই প্যাকেজ গেছে, সেই দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন কুলেবা। রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং গোয়েন্দারা এর তদন্ত শুরু করেছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের স্পেন দূতাবাসে একটি চিঠি বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনা ঘটল। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.