প্রথমেই আমাদের মাথায় আসবে আইসক্রিমের কথা। হ্যাঁ আইস্ক্রিম তো থাকবেই তবে আরও অনেক খাবারই এড়ানো ভালো।
গলায় খুসখুস করা, অস্বস্তি, ফোলা ও জ্বালা ভাব ইত্যাদি হলে গিলতে সমস্যা হয়। আর শীতের ঠাণ্ডা বাতাসে যখন তখন গলায় ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ টোবি অ্যামিডো ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেন, “গলা ব্যথার মাত্রা বেশি হলে খাবার কেনো পানি গিলতেও বেশ কষ্ট হয়।” তিনি আরও বলেন, “যদিও কুসুম গরম পানি গলা ব্যথায় আরাম দেয়। তবে আমার পরামর্শ হলো, প্রাথমিক অস্বস্তি কমাতে ও ব্যথা বাড়ায় এমন খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত।”
মচমচে খাবার: চিপস, বিস্কুট ও অন্যান্য মচমচে খাবার খাওয়া মজাদার অনুভূতি দিলেও এটা ফোলাভাব, ব্যথা ও অস্বস্তি বাড়ায়। এসব খাবারের ধারালো কণা গলায় আরও ক্ষত তৈরি করে।
গলা ব্যথায় নরম খাবার খাওয়া কিছুটা আরামদায়ক। তাই বিস্কুট খুব পছন্দ হলে গরম চায়ে ডুবিয়ে নরম করে খাওয়াই ভালো।
আসিডিক খাবার: সিট্রাস বা টক জাতীয় ফলের মতো, অ্যাসিডিক খাবার যেমন- টমেটোর সস গয়ার জ্বালাতন বাড়াতে পারে। তাই ব্যথা না কমা পর্যন্ত সাময়িকভাবে এগুলো বন্ধ রাখা উচিত।
মসলাদার খাবার: গলা ব্যথায় মসলাদার খাবার অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
ঝাল খাবার গলার ব্যথার ফোলা অংশে বিরক্তিরিকর জ্বালাতন সৃষ্টি করে। তাই ব্যথা ভালো না হওয়া পর্যন্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
সিট্রাস ফল: সিট্রাস ফল বা টক ধরনের ফলে ভিটামিন সি থাকে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। তারপরও লেবু, কমলা, জাম্বুরা ইত্যাদি টক ফলের অম্লতা গলার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই গলা ব্যথা ভালো না হওয়া পর্যন্ত এগুলো এড়ানোই ভালো হবে।
আর বেশি ইচ্ছে করলে গরম চা এমনকি সাধারণ কুসুম গরম পানিতে এসব ফলের রস মিলিয়ে পান করা যেতে পারে।
এছাড়াও চাইলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার যেমন- আলু ও মরিচ ভর্তার মতো নরম খাবার খাওয়া যেতে পারে।
কাঁচা শক্ত সবজি: গাজর, কাঁচা পেঁপে, ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও এগুলো শক্ত খাবার হওয়াতে গলা ব্যথাতে গেলার সময় আরও অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
এক্ষেত্রে কাঁচা না খেয়ে এগুলো রান্না করে খাওয়া ভালো।
রুটি ও ভাজা খাবার: যদিও চিকেন ফ্রাই এবং অনিয়ন রিংগুলো বা যে কোনো ভাজাপোড়া ধরনের খাবার অসুস্থ হলে খেতে বেশ ভালোলাগে। তবে এসব খাবারের মোটা আবরণ গলা ব্যথা বাড়াতে পারে। আর রুটি হল শুকনা খাবার। যা গিলতে কষ্ট হতে পারে। গলা ব্যখা ভালো না হওয়া পর্যন্ত ও বিশেষত অসুস্থ অবস্থায় ভাজাপোড়া খাবার মোটেই স্বাস্থ্যকর পছন্দ নয়।
গলায় ব্যথা হলে এসব খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর তরল খাবারই হবে আদর্শ পছন্দ। যা শরীর ভালো রাখতেও সহায়তা করবে।
যদিও ব্যথার মাত্রার তারতম্য হয়ে থাকে। তাই গিলতে আরাম হয় এমন খাবার বেছে নেওয়াই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।
অর্থসূচক / এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.