রাশিয়ার সেনাঘাঁটি ধ্বংসের পর ইউক্রেনে পাল্টা হামলা

সোমবার ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে রাশিয়া মিসাইল হামলা করে। ইউক্রেনের সেনা জানিয়েছে, একের পর এক মিসাইল বেসামরিক অঞ্চল এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে ধ্বংস করে। বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঝাপোরিজ্ঝিয়ায় বন্দুকের লড়াইয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য দাবি করেছেন, মিসাইল হামলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি রকেট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু সমস্ত অঞ্চল বাঁচানো যায়নি। মিসাইল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ওডেসা শহরের। এছাড়াও চারকেসি এবং ক্রিভি রিহ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওডেসায় পাম্পিং স্টেশন মিসাইলে ধ্বংস হয়েছে। ফলে গোটা শহরে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, উত্তরের বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। হামলার পরেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে কাজ শুরু হয়েছে। বিকেলের পর থেকে ফের বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইউক্রেনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন, রাশিয়ার দুইটি সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার ভিতর ঢুকে ওই দুই সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের অন্য কোনো সরকারি কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। জেলেনস্কিও কিছু জানাননি।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, ওই হামলায় দুইটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ইউক্রেনের সেনা ওই দুই ড্রোনের সাহায্যে রাশিয়ার ভিতরে ঢুকে সেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। ইউক্রেনের স্পেশাল ফোর্স এর পিছনে আছে বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

কিয়েভকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি অস্বীকার করেছেন। তবে নিউ ইয়র্কের টাইমসের দাবি, ওই ঘটনার পরেই মিসাইল বৃষ্টি শুরু করে ক্রেমলিন।

এদিকে রাশিয়া এবং ক্রাইমিয়ার মধ্যবর্তী ব্রিজ কার্চ সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইউক্রেন। সোমবার সেই সেতু দেখতে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত অক্টোবরে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রাশিয়া দ্রুত তার মেরামতি শুরু করে। পুতিন এদিন ওই ব্রিজের উপর দিয়ে নিজের গাড়ি চালিয়েছেন। মেরামতি শেষ হতে আর কত সময় লাগবে, তা নিয়ে কথা বলেছেন ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি, নিউ ইয়র্ক টাইমস

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.