ভোক্তা ঋণে সর্বোচ্চ সুদের হার ১২ শতাংশ

ভোক্তা ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার মৌখিকভাবে ১২ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে আমরা বাস্তবায়নও করেছি বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকার্স সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংকে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন,  বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়গুলো তদারকি করছে। কোনো অনিয়ম পেলে নিশ্চয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাসখানেক আগে আমানতকারীরা টাকা উঠিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বাসের সেই সংকট কেটে গেছে। আমানতকারীরা পুনরায় টাকা ফেরত দিচ্ছেন, ব্যাংকে রাখছেন। এছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই কমে এসেছে। সহসাই ডলারসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাবে।

তবে ব্যাংক ঋণের সুদ হার বৃদ্ধির বিষয়ে এবিবি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ঠিক উল্টো তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও নবনিযুক্ত মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদ হার বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদের বিষয়টি সার্কুলার জারি করে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আবারো প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, আজকের ব্যাংকার্স সভার মূল বিষয়বস্তু ছিল আসন্ন রমজান কেন্দ্রিক আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখা। রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি যাতে দেশে কোনো খাদ্য সংকট তৈরি না হয় সেজন্য কৃষি ঋণ বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যারা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না তাদের টাকা অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে হলেও কৃষকের কাছে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে ইদানিং টাকা জমা দিতে গেলে বিভিন্ন আমানতকারী ব্যাংকারদের জবাবদিহিতার শিকার হচ্ছেন। তাই অন্তত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে যাওয়া কোনো গ্রাহককে অতিরিক্ত প্রশ্নের মুখোমুখি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হুন্ডি বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে যাতে কোনো টাকা পাচার না হয় সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নতুন এই মুখপাত্র।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.