চিনি আমদানিতে ডিউটি কমাতে এনবিআরকে অনুরোধ

চিনি আমদানিতে ডিউটি কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শিগগিরই একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকেও একটি ক্রাইসিস সেল খোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বাজারে এখনো ১২০ টাকা দরে চিনি বিক্রির প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, একটা কথা ঠিক বাজারে যারা ব্যবসায়ী তারা ফেরেস্তা না। কিন্তু আমরা যে দাম নির্ধারণ করি সেটা সব সময় দিতে হবে তা কিন্তু নয়। আমরা শুধু দাম কতো হওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ করি। তারপরও দেখি ব্যবসায়ীরা কোথাও কোথাও চিনিতে সুবিধা নিয়েছে। তবে আমাদের কাগজপত্র বলে প্রচুর পরিমাণ চিনি রয়েছে, পাইপ লাইনেও আছে৷ আপনারা দেখছেন আমাদের ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে, জরিমানা করছে৷ এখন আমরা চিন্তা করছি এর বাইরে যদি প্রয়োজন হয় জেলের ব্যবস্থা করে কারাগারে পাঠানোর যায় কি না।

তিনি বলেন, চিনির দামটা যেটুকু বেশি আছে সেটা কমে আসবে। আজকে একটু কথা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যে আসছে তাকে বলেছি চিনির ওপর ডিউটি যদি একটু কমানো যায় বা কনসিডার করা যায় তাহলে দামের ওপর প্রভাব পড়বে বা দাম কমে যাবে।

চিনি আমদানিতে অনুমোদন দেবেন কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি আছে। অন্য বছরের তুলনায় প্রচুর চিনি রয়েছে। আর আমদানিতো খোলা আছে৷ বাজারে যা মজুত আছে সেটা কোনো অবস্থায় দেশের জন্য বিপজ্জনক নয়। শুধু সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে চিনি পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বাজারে ঘাটতি আছে প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটা ভোক্তা অধিকার আছে, তারা সেটা দেখছে। আমরা আমাদের মতো করে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কে কি বলেছে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার দেখার বিষয় যে দাম হওয়া উচিত, যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা। আর যে বেপার রয়েছে সেটা হলো টেকনিক্যাল ব্যপার, সেটা তো অস্বীকার করতে পারি না।

তিনি বলেন, যারা চিনি উৎপাদন করে তাদের নিয়মিত গ্যাস সাপ্লাই দরকার। সেখানে সমস্যা হলে তারা আর কাজ করতে পারবে না। আমরা সবাই জানি কোথাও কোনো না কোনো সমস্যা আছে। আজকে সব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও ভালো করে দেখার জন্য আমরা চিন্তা করেছি, কিছু নির্ধারিত নির্দেশনা দিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি করা হবে। খুব শিগগির এ কমিটি করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকেও বলেছি তারা যদি একটি ক্রাইসিস সেল খোলে। এ সেল দেখবে কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে। কেন না আমরা লক্ষ্য করছি যতটা না সমস্যা হচ্ছে তার থেকে বেশি অপপ্রচার হচ্ছে।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.