আফগানিস্তানে মাদ্রাসায় বোমা হামলায় নিহত ১৭

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

নিহতদের বেশিরভাগই মাদ্রাসাটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। স্থানীয় একটি হাসপাতালের চিকিৎসক একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এদের সবাই শিশু এবং সাধারণ মানুষ।”

আফগানিস্তানের উত্তর সামাঙ্গান প্রদেশের রাজধানী আইবাকে এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঘটনাস্থল থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে মাজার-ই-শরিফের একটি বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তালেবান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানায় বিবিসি।

বুধবার জামাতে নামাজ পড়া শেষে মুসল্লিরা চলে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে।

তালেবান বাহিনী এ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে এবং ‘দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানায় বিবিসি।

দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই টুইটারে এক পোস্টে এ বিস্ফোরণকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে বর্ণনা করে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। তারপর থেকে দেশটিতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যেগুলোর বেশিরভাগের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থানীয় শাখা। যারা ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসআইএস-কে) নামে পরিচিত।

আফগানিস্তানের সবচেয়ে চরমপন্থি জঙ্গি দলটি দেশটির ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষদের তাদের হামলার মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তালেবান প্রশাসন থেকে হাজারা সম্প্রদায়কে সুরক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

যদি তাদের রক্ষা করতে ‘তালেবান কর্তৃপক্ষ খুব সামান্য ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে’ বলে দাবি ‍হিউম্যান রাইটর্স ওয়াচের।

গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়। যাদের মধ্যে ৫১ জনই তরুণী ছিল। হামলাকারী একটি হলকে তার হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছিল। যেখানে কয়েকশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছিল।

তালেবান নেতারা পরে ওই হামলার জন্য আইএসআইএস-কে জঙ্গি দলের নিন্দা জানায়। যদিও তারা হামলার দায় স্বীকার করেনি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.