ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন বন্ধ থাকতে পারে সাড়ে ৩ মাস

১৮৮৫ সাল থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলছে। ১২ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ ডাবল লাইন ডুয়েলগেজে রূপান্তরে প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প চলছে। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় ঢাকার কমলাপুর থেকে গেণ্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, মাওয়া, পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ চলছে। আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথে ট্রেন চালাতে চায় সরকার।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গেণ্ডারিয়া-ঢাকা অংশের কাজের অগ্রগতি তুলনামূলক কম। ভূগর্ভস্থ পরিষেবা লাইন স্থানান্তরের কাজের গতিও সন্তোষজনক নয়। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করা ট্রেনের নিরাপত্তায় পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ হলে ঠিকাদার প্রয়োজনীয় নির্মাণযন্ত্র ও সরঞ্জাম ওই এলাকায় স্থাপন করতে পারবে।

এদিকে এই রুটে দিনে ২৬টি ট্রেন চলে। একই সময়ে সড়কপথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। সড়কে নির্মাণকাজ চলায় ট্রেন বন্ধের ফলে যানজটে দুর্ভোগ বাড়বে। এদিকে ট্রেন বন্ধে সম্মতি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পেলে ট্রেন বন্ধ হবে। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রস্তাবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধের অনুরোধ করা হয়েছে।

রেলের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, করোনার আগেও দুটি রেল চলত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে। এখন একটি চলে। ট্রেনটি দিনে ১৩ বার ঢাকায় আসে। কমলাপুর থেকে আবার ১৩ বার নারায়ণগঞ্জ যায়। আগে ৫২টি ট্রিপ হতো। গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত ‘তুরাগ’ নামে আরেকটি লোকাল ট্রেন চলে। এই রুটে এখনও দিনে ৩০ হাজারের বেশি যাত্রী হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.