উত্তর কোরিয়ার আসল লক্ষ্য জানালেন কিম

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী স্ট্র্যাটজিক ফোর্স বা কৌশলগত বাহিনী গঠন করা উত্তর কোরিয়ার আসল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। রোববার দেশটি সম্প্রতি যে সর্ববৃহৎ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে তার সঙ্গে জড়িত কয়েক ডজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।

গত ১৮ নভেম্বর উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে যা এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পূর্বসাগর বা জাপান সাগরে পড়ে। ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পুরো প্রক্রিয়া কিম জং উন নিজে দেখভাল করেন।

আন্তঃমহাদেশীয় এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর রাশিয়া ঘোষণা করেছে যে, আমেরিকার পরমাণু অস্ত্রের জবাব উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র দিয়েই দেবে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে আমেরিকা যে বিশাল সামরিক মহড়া চালাচ্ছে তারও নিন্দা করেছিলেন কিম। পার্সটুডে

এর আগে শনিবার পিয়ংইয়ংয়ে এক বক্তৃতায় কিম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রধর দেশে পরিণত হওয়া উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বিশ্ববাসীর সামনে একথা প্রমাণ করেছে যে, উত্তর কোরিয়ার কাছে পূর্ণ মাত্রার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এবং দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বিজ্ঞানীদেরকে তাদের পরমাণু অস্ত্রের শক্তি ও ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া জাপান সাগর অভিমুখে তার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘হুয়াসং’ নিক্ষেপ করে। জাপানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি সেদেশের হুক্কাইদো দ্বীপ থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপানের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে পতিত হয়েছে।

ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন সেনাদের সঙ্গে জাপানের সেনাবাহিনী একটি যৌথ সামরিক মহড়া চালায়। উত্তর কোরিয়া বলছে, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক উস্কানির জবাবে নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.