গুলিবিদ্ধের পর প্রথম জনসভায় ইমরান খান

মৃত্যুভয়কে পেছনে ফেলে রাজনৈতিক অঙ্গনে পুরোদমে সক্রিয় হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, আমি নিজের জীবনের চেয়ে পাকিস্তানের স্বাধীনতা নিয়ে বেশি চিন্তিত। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমি দেশের জন্য লড়াই করে যাব।

চলতি মাসের গোড়ার দিকে পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমবারের মতো জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।

২০২৩ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ইমরান খান মনে করছেন, তাকে চলতি বছরের গোড়ার দিকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে এবং এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে তিনি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন। এ কারণে তার নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ দল আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী লং মার্চ করে যাচ্ছে।

জনসভায় হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে ইমরান বলেন, আমি মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখে এসেছি। যদি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চান, তাহলে মৃত্যুভয় থেকে নিজেদের মুক্ত করুন, রাজপথে নামুন। ভয় পুরো জাতিকে দাসে পরিণত করবে। দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ এখন নির্বাচন চায়। তিনি শেহবাজ সরকারের উদ্দেশ করে বলেন, নির্বাচন না দিয়ে আর কোনো উপায় নেই।

গত এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এক অনাস্থা ভোটে পতন হয় ইমরানের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। এর পর থেকেই তিনি আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ ও লংমার্চ করছেন। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)। গত ৩ নভেম্বর পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে লংমার্চ করছিলেন। এ সময় তার ওপর হামলা হয় এবং তার পায়ে গুলি লাগে। হামলায় পিটিআইয়ের এক সমর্থক নিহত হন। দলটির কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হন। এর পরপরই লংমার্চ স্থগিত করা হয়।

ইমরান অভিযোগ করেন, হামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল ফয়সাল নাসির জড়িত। তবে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, একজন ঘাতক সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই গুলি চালিয়েছে। বন্দুকধারী ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিচার চলছে। তেহরিকে ইনসাফের লং মার্চ অবশ্য ইমরান গুলিবিদ্ধ হওয়ার সপ্তাহখানেক পর ১০ নভেম্বর থেকে আবার শুরু হয়েছে। খবর- পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.