হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, শেষ ষোলোতে ফ্রান্স

শেষ ষোলোর লক্ষ্যে দল সাজিয়েছিলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। পর পর দু’ম্যাচ জিতে গ্রুপ ডি-র শীর্ষে যাওয়ার লক্ষ্যে নেমেছিল ফ্রান্স। চোট সারিয়ে সুস্থ রাফায়েল ভারান। বিশ্বকাপে প্রথম জয়েরলক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল ডেনমার্ক। পরের রাউন্ডের টিকিট পাকা করতে মরিয়া ছিলেন কিলিয়ান এমবাপেরাও। শেষ পর্যন্ত দুই এক ব্যবধানে কার্যত বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে ডেনমার্ককে।

স্টেডিয়াম ৯৭৪ এর ম্যাচের শুরুতে দু-একবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও সাফল্য পাননি এরিকসেন। গ্যালারিতে দর্শকদের হতাশাও চোখে পড়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডেনমার্কের গোলের কাছে পৌঁছে যান কিলিয়ান এমবাপে। ক্যাসপার শমাইখেলের অভিজ্ঞ হাত অঘটন ঘটতে দেয়নি। ম্যাচে ফল তখনো শূন্য শূন্য। কিন্তু ৬১ মিনিটের মাথায় জাত চেনালেন এমবাপে।

গোল খেয়ে আক্রমণের তেজ বাড়াতে শুরু ডেনমার্ক। তার ফলও মেলে। কর্নার থেকে সতীর্থের ব্যাক হেড থেকে হেডে গোল করেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন। কিছু করার ছিল না লরিসের। পিছিয়ে পড়ার সাত মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরায় তারা।

ফের ফ্রান্সকে চাপে ফেলতে চেয়েছিল ডেনমার্ক। কিন্তু উদ্ধার করেন হুগো লরিস। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে জেসপার লিন্ডস্টর্মের শট দারুণভাবে রুখে দিলেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক লরিস। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ওস্তাদের মার। ডান পায়ের টোকায় ফের ডেনমার্কের জালে বল জড়ালেন এমবাপে। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ফ্রান্সকে ফের এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারল না ডেনমার্ক। গ্রিজম্যান-এমবাপে জুটি ফ্রান্সকে পৌঁছে দিল নক আউট পর্বে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.