নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন ওয়ার্নার

অবশেষে নেতৃত্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল ডেভিড ওয়ার্নারের। সাবেক এই সহ-অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে নিজেদের আইনেও খানিকটা পরিবর্তন আনল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

গত অক্টোবর থেকেই ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে সংশ্লিষ্টরা। মূলত ওয়ানডে থেকে তখনকার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ অবসর নেয়ার পরই জোরালো হয় ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু। অস্ট্রেলিয়া অবশ্য পরবর্তী ওয়ানডে নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে দেশটির টেস্ট দলপতি প্যাট কামিন্সকে।

আর ওয়ার্নারকে পুনরায় নেতা হওয়ার জন্য উপযুক্ত করতে যে সংশোধনী করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে খেলোয়াড় ও স্টাফরা দীর্ঘমেয়াদী শাস্তি পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে তিন সদস্যের প্যানেল মেম্বাররা সেই আবেদন তদন্ত করবে। অর্থাৎ উক্ত খেলোয়াড় বা স্টাফ আসলেই অনুতপ্ত হয়েছেন কিনা এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পর্যাপ্তভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা সেটাই তারা দেখবেন। সমস্ত প্রক্রিয়াটিকে আপিল বা রিভিউ বলছে না সিএ। বরঞ্চ এটাকে তারা বলছে মডিফাই বা আইনি পরিবর্তন।

২০১৮ সালে বল বিকৃতি কান্ডে জড়িয়ে অধিনায়কত্বে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক স্মিথ এবং সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। এমন ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এক বছর না খেলতে পারার পাশাপাশি নেতৃত্ব থেকে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা পান ওয়ার্নার। নেতৃত্ব থেকে ওয়ার্নার আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেলেও স্টিভ স্মিথ মাত্র দুই বছরের সাজা পান। যেটা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সহ-অধিনায়কত্বও পান তিনি। এমনকি শেষবারের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স যখন করোনা আক্রান্ত হন, তখন অ্যাডিলেড টেস্ট নেতৃত্ব দেন স্মিথ।

মূলত অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হতে পারেন ওয়ার্নার। কেননা বর্তমান নেতা ফিঞ্চ এই ফরম্যাটে দিন দিন অফ-ফর্মেই যাচ্ছেন এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার না খেলার সম্ভাবনাই অনেক বেশি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.