কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এল ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ

হঠাৎ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত মাছে মাছে ছেয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট বলছেন সমুদ্র সৈকতে এভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ভেসে আসার ঘটনা আগে ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছ। মাছ ভেসে আসার খবরে সৈকতের আশপাশের এলাকার লোকজন ভেসে আসা মাছ সংগ্রহ করেন। কেউ কেউ এক মণের ও বেশি মাছ কুড়িয়ে সৈকতে স্তূপ করেন।

লাবণী পয়েন্টের লাইফগার্ড আবদুল গফুর বলেন, সাগরের তীরে এভাবে তাজা মাছ ভেসে আসার ঘটনা আমার জীবদ্দশায় ঘটেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলেছে মাছ কুড়ানোর কর্মযজ্ঞ। কিছু পর্যটকও দুএক কেজি করে সংগ্রহ করেছেন।

সৈকতের পাশের এলাকা বাহারছড়া গ্রামের রাশেদুল হক জানান, তিনি প্রায় এক মণ পোপা মাছ সংগ্রহ করেছেন। মাছগুলো রোদে শুকিয়ে শুটকি করবেন তিনি।

কলাতলী আদর্শ গ্রামের রোকেয়া খাতুন জানান, তিনি ২০ কেজির মতো মাছ সংগ্রহ করেছেন। মাছগুলো তিনি বাজারে বিক্রি করবেন।

কলাতলীর দরিয়ানগর এলাকার ট্রলার মালিক নুরুল আবছার বলেন, অগভীর সাগরে অসংখ্য ট্রলার ঘেরাও জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য। তাদের জালে অস্বাভাবিক পরিমাণে মাছ ধরা পড়েছে। এত বেশি মাছ ধরা পড়েছে যে ট্রলারে করে আনাও সম্ভব হয়নি। মাঝি-মাল্লারা অতিরিক্ত মাছ সাগরে ফেলে দেন। ফেলে দেওয়া মাছগুলো সৈকতে ভেসে এসেছে।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে তা হলো বঙ্গোপসাগরের শৈবাল পয়েন্টে মাছ ভর্তি একটি ট্রলার ডুবে গেছে। সেই ট্রলারে থাকা মাছগুলো ভেসে এসেছে। এ ছাড়া অতিমাত্রায় মাছ ধরা পড়েছে। ওই মাছ সৈকতে ভেসে এসেছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নাকি অন্যকোনো কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি গবেষণা করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

এর আগে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে কয়েক দফায় সাগরে ভেসে এসেছিলো অসংখ্য জেলিফিশ। এর আগে সমুদ্র সৈকতে থেকে ভেসে এসেছিল কয়েকটি মৃত তিমি এবং কয়েক হাজার টন বর্জ্য।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.