শুরুটা রঙিন পোশাকে রঙিন কামিন্সের

চোট থেকে সেরে ওঠা ডেভিড মালানের সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। তবে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ এবং ট্রাভিস হেডের হাফ সেঞ্চুরির বিপরীতে লড়াই করতে পারেননি ইংলিশ বোলাররা। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। এমন জয়ে রঙিন পোশাকে অধিনায়কত্বের শুরুটা দারুণ হলো প্যাট কামিন্সের।

জয়ের জন্য ২৮৮ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ এনে দেন ওয়ার্নার এবং হেড। শুধু ভালো শুরুই নয়, অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিতও গড়ে দেন এই দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১৪৭ রান। প্রায় দেড়শ রানের জুটি গড়ার মাঝে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তারা। ৪৪ বলে ওয়ার্নার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর পঞ্চাশ ছুঁতে হেড খেলেছেন ৪৬ বল। ওয়ার্নার ও হেডের জুটি ভাঙেন ক্রিস জর্ডান। ডানহাতি এই পেসারের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ফিল্ট সল্টকে ক্যাচ দেন ৫৭ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলা হেড।

বাঁহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পর স্মিথের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও ৮৬ রানে ফিরে যেতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটারকে। ডেভিড উইলির বাউন্সারে স্যাম বিলিংসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। নিজের পরের ওভারে মার্নাশ ল্যাবুশেনকেও আউট করেন উইলি। বাঁহাতি এই পেসারের বলে উইকেটকিপার বাটলারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে ফিরেছেন ল্যাবুশেন। এরপর ৪৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন স্মিথ। এদিকে পাঁচে নেমে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি অ্যালেক্স কেরি। এই উইকেটকিপার ব্যাটার আউট হয়েছেন লিয়াম ডওসনের বলে সল্টকে ক্যাচ দিয়ে।

কেরি ফিরলেও ক্যামেরন গ্রিনকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন স্মিথ। ডানহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে। এ ছাড়া গ্রিনের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ২০ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে উইলি দুটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন জর্ডান ও ডওসন।

এর আগে মালানের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন মালান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন উইলি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা এবং কামিন্স।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.