দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৃহত্তর বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিঙ্গাপুর সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। আমি সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংঙ্গে সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য সম্পর্কমন্ত্রী এস. ইশ্বরানের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে এবং রিফুয়েলিং সুবিধাসহ কক্সবাজারে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এস. ইশ্বরান বলেন, উভয় দেশেরই পর্যটন খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে তাঁরা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তির বিষয়ও আলোচনা করেন। সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ এবং সম্ভাবনাময় খাত অনুসন্ধানে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শক্তিশালী হয়েছে।’ শেখ হাসিনাও সিঙ্গাপুরের উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.