থাপ্পড় দেওয়ায় ২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট

এক ছাত্রকে থাপ্পড় দেওয়ার জেরে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। দুই শিক্ষার্থী হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের সুমাইয়া বিনতে একরাম ও আনিকা তাবাসসুম।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) তাদের বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী এস এম আরিফুল ইসলাম। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ মাহতাব।

পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কারণ দর্শানো ছাড়া বহিষ্কার করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এখন তাদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণাও কোনও বাধা নেই।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুই ষিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে একরাম থাপ্পড় দেওয়া (শারীকিভাবে লাঞ্ছিত করা), অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা ও অসদাচরণ করে বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিকা তাবাসসুম মীমের বিরুদ্ধেও অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা ও অসদাচরণের বিষয়টি প্রমাণি হয়। প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন ও ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিন বোর্ডের জরুরি সভার সুপারিশে একইদিন সিন্ডিকেটের জরুরি ভার্চুয়াল সভায় দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়।

এর মধ্যে সুমাইয়াকে এক বছরের জন্য এবং আনিকা তাবাসসুমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পাশাপাশি তাদের নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন। তবে তাদের ফলাফল প্রকাশ না করার নির্দেশ দেন আদালত।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.