প্রথম দিনেই ফেস ভ্যালুর নিচে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার

বহুল আলোচিত গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পুঁজিবাজারে অভিষেক সুখকর হয়নি। তালিকাভুক্তির প্রথম দিনেই ব্যাংকটির শেয়ারের দাম তার অভিহিত মূল্যের (Face Value) নিচে নেমে এসেছে। শেয়ারের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। অর্থাৎ আইপিও থেকে যারা ব্যাংকটির শেয়ার কিনেছিলেন, লেনদেন শুরু দিনেই তারা ১০ শতাংশ লোকসানে পড়ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পুঁজিবাজারে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংকটির পারফরম্যান্সের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা না থাকার কারণে লেনদেনের প্রথম দিনেই হোঁচট খেয়েছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অভিহিত মূল্যে ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এর মাধ্যমে বাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) মূল মার্কেটে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু  প্রথম দিনেই শেয়ারটি ১০ শতাংশ বা ১ টাকা দর হারায়। দিন শেষে এই শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ৯ টাকা।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য হয়েছিলো ৯ টাকা ৮০ পয়সা। এদিন ব্যাংকটি ১১ হাজার ৮১৭ বারে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬১টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা প্রায়।

উল্লেখ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে আইপিওর মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমোদনের পর গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আইপিও আবেদন সম্পন্ন করেছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

এসময়, আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি উত্তোলন করে ব্যাংকটি। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিএল) মাধ্যমে ব্যাংকটির আইপিওতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৪ টাকা ৪২ পয়সা। কোম্পানিটি সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেনি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.