বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় তুরস্ক: রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান জানান, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় তুরস্ক। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা শুধু বাংলাদেশেরই সিদ্ধান্ত, বিদেশিদের নয়। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা বিদেশিদের কোনো বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে। এটা শুধু বাংলাদেশেরই সিদ্ধান্ত, বিদেশিদের নয়।

রাজনৈ‌তিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাজনৈ‌তিক মতপার্থক্যের সমাধান করতে হলে আলোচনার মাধ‌্যমে করতে হবে। সরকার একা সবকিছু করতে পারে না।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিক, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

গেল সোমবার সিজিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। জাপান ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপর উদ্বেগ জানিয়েছিল। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করবো, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।

ইতো নাওকির ওই বক্তব্যের জন্য তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক‌টি বেসরকা‌রি টে‌লি‌ভিশনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। ওই বক্তব্যের জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি বন্ধুদের পরামর্শের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন শাহরিয়ার আলম।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.