গ্রহের জনসংখ্যা ছাড়াল ৮০০ কোটি

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্বে জীবিত মানুষের সংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ওয়ার্ল্ডোমিটারে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার জনসংখ্যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০০ কোটি ১০ হাজার জনে। ওয়েবসাইটটির তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে ৫৮ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন। এছাড়া ৮০০ কোটিতম মানুষটির জন্ম হয়েছে এশিয়ায়।

জনসংখ্যার এ বৃদ্ধিকে মানব ইতিহাসে একটি অন্যন্য অর্জন হিসেবে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। তাদের মতে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতি, পুষ্টি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং উন্নত ওষুধের কারণে মানুষের গড় আয়ু সামান্য বেড়েছে। আর এ বিষয়টি জনসংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি।

জাতিসংঘের ২০২২ সালের জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর পরবর্তী ১০০ কোটি মানুষের বেশিরভাগের জন্ম হবে আটটি দেশে। সেগুলো হলো- কঙ্গো, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও তানজানিয়া।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরই এখন বসবাস মাত্র সাতটি দেশে (চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া এবং ব্রাজিলে)। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ হলো চীন। জাতিসংঘের জনসংখ্যা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চীনকে টপকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশে পরিণত হবে ভারত। তারা আরও জানিয়েছে, ২০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জন্মহার বাড়লেও এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ কমে আসা শুরু হবে।

বিশ্বে জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি হতে সময় লেগেছে প্রায় ১২ বছর। বলা হচ্ছে, এ সংখ্যা ৯০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করতে সময় লাগবে ১৫ বছর। মানে ২০৩৭ সালে জনসংখ্যা ৯০০ কোটিতে পৌঁছাবে। অন্যদিকে বিশ্বের জনসংখ্যা ১ হাজার কোটিতে স্পর্শ করবে ২০৮০ সালে। এ বিষয়টিই নির্দেশ করছে সামনের কয়েক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ কমে আসবে।

এদিকে ২০১৯ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২.৮ বছর। ১৯৯০ সাল থেকে যা প্রায় ৯ বছর বেড়েছিল। গড় আয়ু বাড়ার এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে বলা হচ্ছে এবং ২০২৫ সালে এটি ৭৭.২ বছর বয়সে দাঁড়াবে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.