সাকিবের ‘আউট’ দেখে হতাশ মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক

পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকালের (৬ নভেম্বর) ম্যাচে শাদাব খানের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে খানিকটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে ব্যাটে-বলে টাইমিংটা ঠিকঠাক করতে পারলেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শাদাবের বল সাকিবের ব্যাটে লেগে আঘাত হানে বুটে। আবেদন করলেও খানিকটা সময় নিতে সাকিবকে এলবিডব্লিউ আউট দেন অন ফিল্ড আম্পায়ার হোল্ডস্টক।

তৎক্ষণিক রিভিউ নেন সাকিব। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় বল ব্যাটে লেগেছে। আল্ট্রা এজে দেখা মিলে সেটির প্রমাণও। তাতে খানিকটা হাসি ফুটে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মাঝে। তবে পরোক্ষণেই বদলে যায় দৃশ্যপট। টিভি রিপ্লেতে যে এজ দেখা যায় সেটা ব্যাট এবং মাটির ধরে নিয়ে অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন ল্যাংটন। আমলে নেয়া হয়নি তিন মিটারের নিয়মও। তাতেই শুরু হয় বিতর্ক।

সাকিবকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দ্যা ক্যাপ্টেইনস শো’তে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এটা আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। সাকিবের যখন ইমপ্যাক্ট হয়, তখন কিন্তু সে নিজেই সরাসরি রিভিউ নিয়েছে। তার যদি সন্দেহ থাকতো তাহলে সে তার সঙ্গীর সাথে কথা বলে নিত। সাউথ আফ্রিকার সাথে ম্যাচটিতে আমরা দেখেছি, সে রিভিউ নেয়নি। সে চিন্তা করেছে রিভিউটা ক্লোজ। দলের কথা চিন্তা করেই সে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। বলটা তার ব্যাটে লেগেছে বলেই সে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। রিভিউ নিয়েছে। আসলেই তাই ছিল। আমি জানি না আম্পায়াররা কি দেখল, এটা হতাশার ছিল।’

একই অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘এটা অনেক বেশি হতাশার। প্রযুক্তির এই যুগে আপনি যদি এতো বড় একটা ব্লান্ডার করেন, অনফিল্ড সিদ্ধান্তে ভুল হলে সেটা একরকম। সেটা অনেক কম সময়ে নেয়া হয়। কিন্তু যখন এটা টিভি আম্পায়ারএর কাছে যায় তার কিন্তু অনেক সময় থাকে এটা দেখার। এটা কিন্তু আমরা দেখেছি, বলটা ব্যাটে লেগেছে এবং ব্যাট মাটি থেকে কয়েক ইঞ্জি উপরে আছে। এটা আসলে হতাশার। আমরা এটাকে ভুলই বলব। এখানে অবশ্যই ভুল হয়েছে।’

টিভি আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না সাকিব। যে কারণে অসন্তোষ নিয়ে মাঠের মধ্যেই আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবকে কথা বলতে দেখা যায়। তবে কাজে আসেনি সাকিবের সেই আলাপচারিতা। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় বাংলাদেশের অধিনায়ককে। বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তুলে ১২৭ রান। পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই এই লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.