সেরা বিশ্বকাপ, তবে আরও ভালো করতে পারতাম: সাকিব

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল পর্বে দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যেকোনো বারের তুলনায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই সাফল্যের হার বেশি। আর তাই এটাকেই ‘সেরা বিশ্বকাপ’ বলে মানছেন সাকিব আল হাসান।

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে শুভসূচনা শুরু করে বাংলাদেশ। যদিও এর পরের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে রীতিমতো উড়ে যায় টাইগাররা। তারপরের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে যায় সাকিবের দল। তবে আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রীতিমতো হৃদয় জিতে নেয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সেই বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে যদিও পাঁচ রানে হেরে যায় সাকিবের দল। সবশেষে পাকিস্তানের বিপক্ষেও খেই হারায় লাল-সবুজের দল। অথচ এই ম্যাচটি জিতলেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে যেতো তারা।

ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘ফল হিসেবে আমাদের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম, আরও ভালো করতে পারতাম। তবে নতুন খেলোয়াড় এসেছে, অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এর চেয়ে কম (বেশি) আশা করতে পারি না।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম দশ ওভারে করে এক উইকেটে ৭০ রান। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শেষপর্যন্ত ১২৭ রানে থামে তারা। পাঁচ উইকেট হাতে রেখে এই লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান।

সাকিব আরও বলেন, ‘ইনিংসের মাঝপথে ৭০ রানে ১ বা ২ উইকেট ছিল আমাদের। ১৪৫-১৫০ রানের মতো করতে চেয়েছিলাম। এ পিচে সেটি ভালো একটি স্কোর হতো। প্রথম ম্যাচ দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের। ইনিংসের পরের ১০ ওভারে রান করা কঠিন। সব সময়ই জানতাম, নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে আমাদের। ফলে থিতু ব্যাটসম্যানদের কাউকে শেষ পর্যন্ত থাকাটা দরকার ছিল। সেটি হয়নি।’

বর্তমানে সাকিবের বয়স ৩৫। পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় তার বয়স হবে ৩৭। সেই বিশ্বকাপেও কি খেলতে চান সাকিব? তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আসলে। বাংলাদেশের হয়ে যত দিন সম্ভব খেলে যেতে চাই। তবে আমাকে ফিট থাকতে হবে, পারফর্ম করতে হবে। অবশ্যই নিজের পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও এটি আদর্শ কিছু ছিল না। আরও ভালো করতে পারতাম। তবে হ্যাঁ, ফিট থাকতে পারলে, দলের জন্য অবদান রাখতে পারলে খেলতে ভালো লাগবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.