সাকিবদের পুঁজি ১২৭

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বেশ ভালো শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বাউন্সারে ছক্কা মারেন লিটন। তবে সেই ওভারেই ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে। আফ্রিদির শর্ট ডেলিভারিতে সামনের পায়ে ভর করে কভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা শান মাসুদের হাতে ধরা পড়তে হয় ১০ রান করা লিটনকে।

ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরার এক বল পরই ফিরতে পারতেন শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি শাদাব। তাতে জীবন পান ১১ রানে থাকা শান্ত।

লিটন ফেরার পর ভালোভাবেই মাচের নিয়ন্ত্রণ নেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। দেখেশুনে খেলে ৫২ রানের জুটি গড়ে তারা। এই দুজনের ব্যাটে দশ ওভারের মধ্যে ৭০ রান তোলে বাংলাদেশ। বিপত্তি ঘটে ১১ তম ওভারে। শাদাব খানের করা সেই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফিরে যান সৌম্য ও সাকিব। ১৭ বলে ২০ রান করা সৌম্য পয়েন্টে ধরা পড়েন শান মাসুদের হাতে। অপরদিকে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন সাকিব। শাদাব খানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। যদিও বলটি সাকিবের ব্যাটে লেগে পায়ে লেগেছিল। আউট হওয়ার পর রিভিউ নেন সাকিব। শেষরক্ষা হয়নি। থার্ড আম্পায়ারও অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।

সাকিব ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। এবারের আসরে ও নিজ ক্যারিয়ারে এটাই তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। মাইলফলক উদযাপনের পরই অবশ্য ইফতেখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শান্ত। ৯১ রানে তখন চার উইকেট নেই বাংলাদেশের। এই খাদের কিনারা থেকে আর উঠতেও পারেনি তারা। ১৭তম ওভারে আবারও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন (৫) ও নুরুল হাসান সোহান (০)। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.