জিতেও ভাগ্য ঝুলছে অস্ট্রেলিয়ার

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ রানে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও এই জয়ের পরও তাদের সেমিফাইনালে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।

এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে থাকা ইংল্যান্ড সেই ম্যাচে জিতলেই সেমিফাইনালে চলে যাবে। ফলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে অজিদের। আর ইংল্যান্ড হারলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে অজিরা।

অ্যাডিলেডে টস হেরে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচের আগে একাদশে তিনটি বড় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল অজিরা। একাদশের বাইরে ছিলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ, টিম ডেভিড ও মিচেল স্টার্ক। একাদশে ফিরে ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৩ রান করে আউট হন ক্রিস গ্রিন। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ মিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয় সামাল দেন। ওয়ার্নার ১৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন।

মার্শের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। এরপর মার্কাস স্টইনিসের ২১ বলে ২৫ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে মাঝারি পুঁজি নিশ্চিত করে অজিরা। ম্যাক্সওয়েল একপ্রান্ত আগলে রাখলেও তাদের সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই।

আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে একাই তিন উইকেট নেন নাভিন উল হক। দুটি উইকেট পেয়েছেন ফজলহক ফারুকি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান।

এরপর মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ওপেনার উসমান গনিকে হারায় আফগানরা। তবে ওপেনার গুরবাজ ১৭ বলে দুই ছক্কা ও দুই চারে ৩০ রান করেন। তিন নম্বরে নামা ইব্রাহিম জাদরান ৩৩ বলে ২৬ রান করেন। মিডল অর্ডারে গুলবাদিন নাইব ২৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আফগানিস্তানকে ম্যাচে রাখেন। এরপর দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারালে চাপে পড়ে আফগানরা। যদিও ডারউইস রাসুলি ও রশিদ মিলে আফগানদের ম্যাচেই রেখেছিলেন।

বিশেষ করে রশিদ ২৩ বলে চারটি ছক্কা ও তিন চারে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও আফগানিস্তানকে জেতাতে পারেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা। দুজনই দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পেয়েছেন কেন রিচার্ডসন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.