আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে এবং ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই সিটির পূর্ণাঙ্গ তফসিল আগামী সোমবার ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে নবম কমিশন বৈঠক এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আমরা নির্বাচনটা সময়ের মধ্যেই করতে চাই। কোনোভাবে সময় শেষের দিকে করতে চাই না।
রংপুর সিটি নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এগুলো ব্যবহারে কমিশনের একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। ইসির অবস্থান হচ্ছে, সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা। তবে প্রতিটি নির্বাচনের আগে ইসি বৈঠকে বসে। সেখানে নির্বাচনে কী কী থাকবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ এই সিটিতে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।
২০১৭ সালের এই সিটির পুরো নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন ওই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা পায়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নগরিপতা নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
পৌরসভা থেকে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন হয় ২০১২ সালের ২৮ জুন। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওই বছর ২০ ডিসেম্বর। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু প্রথম নগরপিতা হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমানে এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার রয়েছে প্রায় চার লাখের বেশি। ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.