বাংলাদেশের পুঁজি দেড়শো

পাওয়ার প্লে’র সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি ওপেনাররা। ২ ব্যাটারকে হারালেও সাকিব-শান্তর প্রতিরোধে আশা জাগে স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক সংগ্রহের। সঙ্গে ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া শান্ত’র ৫৫ বলে ৭১ রান দলকে দেড়শোর পথে নিতে বড়ো ভুমিকা রেখেছে। শেষের দিকে আফিফ হোসেনের ৩১ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশ পায় ৩ উইকেটে ১৫৪ রানের পুঁজি।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিতে পারেননি সৌম্য সরকার। রানের খাতা খোলার আগেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে সামলাতে পারেননি এই ব্যাটার। সঙ্গী হারালেও লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শান্ত। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ঠিক আগে স্কুপ করতে গিয়ে ১২ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন। ৬ ওভার পরও রান রেট ৬-৭ এ রেখেই স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন সাকিব আল হাসান ও শান্ত। ১০ ওভারে দলীয় রান গিয়ে দাঁড়ায় ৬২।

বিরতির পর এই জুটি হাত খুলতে শুরু করেন। বিশেষ করে শান্ত দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ১৩তম ওভারে ৪ বলে এক রান আসায় ৫ম বলে দলকে চাপমুক্ত করতে গিয়ে ৩০ গজে আউট হন সাকিব। শন উইলিয়ামসকে উইকেট ছুঁড়ে দেয়ার আগে তিনি করেন ২০ বলে ২৩ রান। পরের ওভারে রাজার বিপক্ষে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পুরণ করেন শান্ত।

এরপর ১০ বলে শান্ত যোগ করেন আরও ২১ রান। তবে ৭১ রানে রাজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন তিনিও। শেষের দিকে মোসাদ্দেককে সাথে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন আফিফ। শেষ ওভারে ১০ বলে ৭ রান করে মোসাদ্দেক ফিরলেও আফিফ দলকে নিয়ে যান ১৫০’র ওপর। এর আগে সোহান আউট হন এক রানে, রান আউটের ফাঁদে পড়ে। দেড়শ রানের বেলায় আফিফ ফেরেন লেগ বিফোর হয়ে। ১৯ বলে ২৯ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ৭ উইকেটে ১৫০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ২ উইকেট নেন মুজারাব্বানি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.