৬ ওভারে ৪ উইকেট নেই ডাচদের

পাওয়ার প্লে’তে পাওয়া ছন্দ বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারেনি মাঝের ওভারগুলোতে। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আফিফ হোসেন। মাঝের ধাক্কা সামাল দিয়ে এই ব্যাটারের ৩৮ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ পেয়েছে লড়াই করার পুঁজি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সাকিববাহিনীর সংগ্রহ ১৪৪। জবাবে ব্যাটিং করছে নেদারল্যান্ডস।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নেদারল্যান্ডস। তাসকিন আহমেদের তোপে পড়ে ইনিংসের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট হারায় তারা। বিক্রমজিত সিং ক্যাচ তুলে দেন স্লিপে, যা লুফে নেন ইয়াসির আলী রাব্বি। পরের বলে বাস ডি লিডকে ফেরান তাসকিন। উইকেটরক্ষক সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

এর আগে উইকেট ও কন্ডিশন বিবেচনায় টসে জিতেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদ্যারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তবে তার সিদ্ধান্তের প্রতিদান শুরুতেই দিতে পারেননি ডাচ বোলাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার গতি ও বাউন্স সামাল দিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন।

সৌম্য ১০০ স্ট্রাইক রেটে রান তুললেও ওপরপ্রান্তে শান্ত হাত খুলেই খেলেন। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ভান মেকেরিনের বুক বরাবর করা বাউন্সের গতি বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। ১৪ বলে ১৪ রানে তিনি ফিরলে পরের ওভারে পঞ্চম স্টাম্প থেকে টিম প্রিঙ্গেলকে স্লগ সুইপ করতে ক্যাচ আউট হন শান্তও। ২০ বলে ২৫ রান করে আউট হন এই ওপেনার। দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসার ধাক্কা সামাল দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। ১১ বলে ৯ রান করে ভ্যান বিককে মারতে গিয়ে ৩০ গজের ভেতর তালুবন্দি হন লিটন। খানিক পর শালিজ আহমেদকে স্লগ করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে তালুবন্দি হন সাকিবও।

দশম ওভারে আফিফ হাঁকান ইনিংসের প্রথম ছক্কা। এরপর বৃষ্টি হানা দেয় ৫ মিনিটের জন্য। বৃষ্টি থামার পর ক্রিজে নেমে মেকেরিনের বলের লাইন বুঝতে না পেরে বোল্ড হন ইয়াসির। এরপর আফিফকে সঙ্গ দিতে নামে নুরুল হাসান। দুজন মিলে ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে নিয়ে যান শতরানের ওপর।

তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ আরও যোগ করে ৪৪ রান। তবে ১৮তম ওভারে বাস ডি লিডকে পেছনে খেলতে গিয়ে আউট হন সোহান। দলীয় ১২০ রানে ক্রিজে নেমে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান মোসাদ্দেক। কিন্তু ওভারের শেষ বলে আফিফকেও উইকেটের পেছনে আউট করেন লিড। ২৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন এই ব্যাটার।

শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের সুযোগ ছিল দেড়শ’র ঘরে পা দেয়ার। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে নেমে তাসকিন দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন ফ্রেড ক্লাসেনের বলে। শুন্য রানে তিনি ফিরলে পরের ৩ বলে আসেনি কোনো রান। শেষ ওভারের শুরুর ২ বলে কোন রান নেননি মোসাদ্দেক।

কিন্তু তৃতীয় বলে তার ছক্কায় বাংলাদেশ পৌছায় ১৪০’র ঘরে। শেষ ৩ বলে একবার জীবন পেয়ে এই ব্যাটার আরও যোগ করেন ৪ রান। বাংলাদেশ পায় ১৪৪ রানের পুঁজি। মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.