স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, খুলনায় বিভাগীয় গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মীকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। পুলিশ যাদের গ্রেফতার করে সেটা নিয়মিত কাজের অংশ। যাদের নামে ওয়ারেন্ট আছে, যারা ভাঙচুর করে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের কোনো বাধা নেই।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরের রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।
বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুলনায় বিএনপির একটি সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর কোনো কিছু ঘটার তথ্য জানা নেই। সেখানে বাস চলাচল কেন বন্ধ রয়েছে সে বিষয় কোনো নির্দিষ্ট তথ্য আমি জানি না। এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি যতটুকু জানি তা হলো বাস মালিকদের কিছু দাবি ছিল। এখন সেই কারণেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নই আমি।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন পুলিশকে অবসরে পাঠানো হয়েছে, কথা রটেছে আরও বেশ কিছু পুলিশ সদস্য ওই তালিকায় রয়েছেন, মূলত বিষয়টি কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা মনে করছেন পুলিশ বাহিনীতে আর থাকবেন না বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকতে পারে এমন পুলিশ সদস্যরা বাহিনী থেকে চলে যান। এছাড়াও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিয়মিত এমন তালিকা দেওয়া হয়ে থাকে। যাদের ২৫ বছর বাহিনীতে সার্ভিস সম্পন্ন হয়েছে বা সদর দপ্তর মনে করে তাদের আর প্রয়োজন নেই, তাদের অবসরে পাঠানো হয়।
শিশুদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলছে এতে ভোগান্তি বাড়বে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কি মনে করছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য। সরকার মনে করেন- শিশুটি যখন জন্মগ্রহণ করে তখন থেকেই সে এনআইডি প্রাপ্য। যে নম্বরটি তাকে দেওয়া হবে মৃত্যু পর্যন্ত ওই নম্বরটি তার থাকবে। মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তখন ভোটার লিস্ট তৈরি করার জন্য শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যা বলছেন, সেটি তাদের নিজস্ব বক্তব্য। সরকার মনে করেন এনআইডিটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকা উচিৎ।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দাবি ছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। যখন শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশে ফিরলেন, তিনি সারাদেশ ঘুরেছেন। সবার সঙ্গে দেখা করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হত্যার বিচার করতে সারাদেশের মানুষকে একত্র করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.