‘অংশগ্রহণ করতে আসিনি, ম্যাচ জিততে এসেছি’

রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবিরা বিশ্ব জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন। দলের আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই আছেন যারা কিনা বছরের বেশিরভাগটা সময় টি-টোয়েন্টিতে মেতে থাকেন। তাতে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ক্রমশই শক্তিশালী হয়ে উঠছে আফগানিস্তান। বড় প্রত্যাশা নিয়ে আসলেও কোন আসরেই বড় মঞ্চে সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি দলটি।

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়াকে হারালেও গ্রুপ পর্বে ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। তবে এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ আশাবাদী জোনাথান ট্রট।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আফগানিস্তানের ব্যাটিং কোচ জানালেন, ‘আশা করি, আমাদেরকে এখন কেবল বিপজ্জনক নয়, এমন দল হিসেবে দেখা হয় যারা প্রতিদ্বন্দিতা করে পরের ধাপে যাওয়ার ধারাবাহিকতা দেখায়। আমরা এখানে শুধু অংশগ্রহণ করতে আসিনি, ম্যাচ জিততে এসেছি।’

আফগানিস্তান যেন স্পিনারদের কারখানা হয়ে উঠছে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচেই দেখা যাবে রশিদ, নবি এবং মুজিবের মতো স্পিনত্রয়ীকে। তাদের তিনজনেরই বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় বাড়তি সুবিধাও পাবে আফগানিস্তান। তাদের বেশির ভাগ ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকাও রাখেন তারা তিনজন। যদিও আফগানিস্তানকে শুধু বোলিং নির্ভর দল মানতে নারাজ ট্রট। রহমানুল্লাহ গুরবাজ-হজরতউল্লাহ জাজাইদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইন আপে আস্থা রাখছেন ইংল্যান্ডের সাবেক এই ব্যাটার।

আফগানদের ব্যাটিং গুরু বলেন, ‘হ্যাঁ! অবশ্যই (যথেষ্ট ব্যাটসম্যান রয়েছে)। ভালো একটা ভিত গড়ে দেওয়ার জন্য ওপেনারদের দিকে তাকিয়ে আছি। এরপর তিন নম্বরে ইব্রাহিম আছে। এছাড়া আমাদের বেশ কয়েকজন তরুণ রোমাঞ্চকর খেলোয়াড় রয়েছে। তারা নবি, রশিদ বা মুজিবের মতো পরিচিত নাম নয়; তবে তাদের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি, তারা সবার নজর কাড়বে এবং আমাদের অনেক ম্যাচ জেতাবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.