শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের সুপারিশ

সংসদীয় কমিটি থেকে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প এবং সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উৎপাদন কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

রোববার (১৬ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটি সদস্য মো. আবু জাহির, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম এবং নার্গিস রহমান।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমরা ১০০ ভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প এবং সারসহ নিত্যপণ্য উৎপাদনকারী শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতে বলেছি। এছাড়া অফশোর ব্লকের গ্যাস উত্তোলনের কথা বলেছি। তারা তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন বণ্টন চুক্তিও (পিএসসি) পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী করার পরামর্শ দিয়েছেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)-এর ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যায় রাষ্ট্রায়ত্ত এ কোম্পানিটি ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই লাখ ৩৬ হাজার ১৩২.৯৫০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস বিক্রি করে ৮৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৪৩ লিটার পেট্রোল, ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ১৭৯ লিটার ডিজেল, ৯ লাখ ৪৫ হাজার লিটার লাইট কনডেনসেট ও দুই কোটি ৯ লাখ ৬১ হাজার হেভি কনডেনসেট বিক্রি করে ১২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং কনডেনডেট হ্যান্ডেলিং বাবদ ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা আয় করে। এছাড়া আমানতের ওপর সুদসহ আয় হয় ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির ওই অর্থবছর রাজস্ব দাঁড়ায় এক হাজার ১২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ভ্যাটসহ ব্যয় হয় ৯৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। করপূর্ব নীট লাভ হয় ১৭৪ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে কোম্পানি ভ্যাট বাবদ ৪৫৪ কোটি ৮০ লাখ, লভ্যাংশ ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ, আয়কর ৫৪ কোটি ৯৭ লাখ এবং ডিএসএল বাবদ ২৯৯ কোটি টাকাসহ মোট ৮৫৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.