ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো: আইএমএফ

সংকটে বিশ্ব অর্থনীতি, তবে কঠিনতম সময় এখনো আসেনি। চলতি বছরের চেয়ে আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতির সংকট আরও বাড়বে। এ বছরই অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক দুই শতাংশে নেমে যাবে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে অলিভিয়ের গৌরিনচাস বলেছেন, ডলার দিন দিন শক্তিশালী হয়ে কম আয়ের দেশগুলোকে ভয়াবহ ভারসাম্যহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, ঋণের ভারে জর্জরিত দেশগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।

তবে এ থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, মূল্যস্ফীতি যত সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রেখে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়ার পরামর্শ বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমেদের।

মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর প্রভাবে ওলটপালট হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির হিসেবনিকেশ। এতে গত বছরের তুলনায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে অর্ধেকে। জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে অস্থির পণ্য বাজারের জন্য খুব বেশি সুখবর দেয়নি আইএমএফ। আর তাই ২০২২ সালে বিশ্ব মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে প্রায় ৯ শতাংশে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে ওলিভিয়ার গৌরিংচাস বলেন, ডলারের শক্তিশালী অবস্থা ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে ভোগাচ্ছে।

তবে, সংকটে পড়ে তুলনামূলক গরিব দেশগুলোকে আরও সহায়তা দেয়া ও ঋণ আদায়ে ছাড় দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ঋণে জর্জরিত দেশগুলোকে নিয়ে ভাবছি। এখান থেকে তাদের কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জি-২০ জোটভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও আমি বিষয়টি বলেছি। কীভাবে ঋণ দাতা ও ঋণ গ্রহীতা দেশগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে তার উপায় খোঁজা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমেদ বলেন, এখনও স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ; তবে তা ধরে রাখতে সরকারকে আরও জনমুখী উদ্যাগ নিতে হবে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রায় ৩ বছর পর সশরীরে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সাধারণ সভা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে চলছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) শুরু হওয়া ৭ দিনের এ বৈঠকে অংশ নিতে সদস্যভুক্ত ১৮৮ দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের আগ্রহ ছিল দেখার মতো। তাই রেজিস্ট্রেশন বুথের সামনে অংশগ্রহণকারীদের দীর্ঘ অপেক্ষা দেখা গেছে।

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.