প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি। অন্তেষ্টিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর এই যোগদান বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বন্ধুত্বের অন্যতম মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

সোমবার (১০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনকালে এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ রাজধানী লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন।

জেমস ক্লিভারলি গত মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম আলোচনা। তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে ড. আব্দুল মোমেন টেলিফোনে অভিনন্দন জানান। আলাপকালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে উভয়েই সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে তা আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষদের প্রত্যাবাসন শুরু করার লক্ষ্যে আরও দৃঢ় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য ব্রিটেনের প্রতি অনুরোধ জানান।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আশ্বস্ত করেন যে, তার সরকার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। তারা রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি ঘাটতির বিষয়েও আলোচনা করেন। ড. মোমেন সংকট সমাধানে শান্তিপূর্ণ সংলাপের ওপর জোর দেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথাও স্বীকার করেন। খবর বাসস।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.