চলতি বছরেই ৩৬ হাজার কোটি টাকার ডলার বিক্রি

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানি কমানো সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরুতে বেড়েছে আমদানি। অপরদিকে সেপ্টেম্বরে কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এর মধ্যে কয়েকটি বিদেশি ব্যাংক বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর ঋণসীমা কমিয়ে দিয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলার বিক্রি বাড়াতে হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ৩৭৫ কোটিরও বেশি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। ফলে বাজার থেকে উঠে এসেছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার উপরে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভের পতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি কমানো সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানি বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। অপরদিকে প্রথম দুই মাস রেমিট্যান্স বাড়লেও গত সেপ্টেম্বরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ১০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়। সোমবার বিক্রি করে আরও ৯ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ৩৭৫ কোটিরও বেশি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর বিপরীতে বাজার থেকে উঠে এসেছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার উপরে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পারিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৬৫৫ কোটি ডলার। গত বছরের একই দিন রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৬২৪ কোটি ডলার। এর মানে এক বছরে কমেছে প্রায় ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক এখন ব্যাংকগুলোর কাছে ৯৬ টাকা দরে ডলার বিক্রি করছে। চলতি অর্থবছরের এ সময় পর্যন্ত ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের শুরুর দিকেও প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। এ কয়েক মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকই প্রতি ডলারের দর ১০ টাকা ২০ পয়সা বাড়িয়েছে।

আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিক্রি করা দরের কাছাকাছি ব্যাংকগুলো বেচাকেনা করতো। এখন ডলারের দামে ব্যবধান অনেক বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ৯৯ টাকা দর বেঁধে দিয়েছে ব্যাংকগুলো। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনতে পারছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.