পাকিস্তানকে হারিয়ে থাইল্যান্ডের ইতিহাস

ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে থাইল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। হাফ সেঞ্চুরিয়ান নাথাকান চানথাম উইকেটে থাকায় স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছিলো পাকিস্তানকে হারানোর। ১৯তম ওভারে ৬১ রান করা নাথাকান ফিরলেও থাইল্যান্ডের জয় আটকাতে পারেনি পাকিস্তানের বোলাররা। শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে থাইল্যান্ড। তাতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হারাল তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন থাইল্যান্ডের দুই ওপেনার নাথাকান এবং নান্নাপাথ কোনচারেনকি। পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারানো থাইল্যান্ড তুলে ৩০ রান। তবে নবম ওভারে এসে উইকেট হারায় তারা।

বোলিংয়ে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নেন তুবা হাসান। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন নান্নাপাথ। একই ওভারে তিন আসা চানিন্দা সাথিরাংকেও বোল্ড করেন তিনি। এরপর অবশ্য নারুইমোল চাইওয়াইকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন নানাথান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪২ রান। কাইনাত ইমতিয়াজের বলে মুনিবা আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৭ রান করা চাইওয়াইকে ফিরলে তাদের এই জুটি। এদিন ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাথাকান। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর ৬১ রানে ফিরতে হয়েছে তাকে। তবে শেষ দিকে ৫ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলে ৬ বলে ১০ রানের সমীকরণ মেলান রোসেনান কানোহ।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে সিদরা আমিনের ৫৬ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তানের মেয়েরা। থাইল্যান্ডের মেয়েদের হয়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন সোরনারিন টিপোচ। একটি উইকেট পেয়েছেন থিপাচা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.