তেল উৎপাদন কমাবে ওপেক, বাড়তে পারে দাম

তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ অক্টোবর) সংস্থাটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জোটভুক্ত দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমালে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবারও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপেক প্লাস জোট এমন সিদ্ধান্ত নিলে বর্তমানে তুলনামূলকভাবে কম সরবরাহ থাকা তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এমনকি উৎপাদন বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ থাকারও পরও ওপেক প্লাস সেই পথে নাও হাটতে পারে। মাস তিনেক আগে বিশ্বজুড়ে মন্দা এবং ডলারের মান বাড়ার আশঙ্কা বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ব্যাপক কমেছিল। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১২০ ডলার থেকে নেমে ৯০ ডলারে এসেছিল।

সৌদি আরব এবং রাশিয়াসহ অন্যান্য জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস প্রতিদিন বর্তমান উৎপাদনের পরিমাণ থেকে অন্তত ১০ থেকে ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছে। জোটের একাধিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওপেক প্লাস দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেলের কাছাকাছি পরিমাণ তেল উৎপাদন কমাতে পারে।

ওপেক প্লাস জোটের তেল উৎপাদন কামানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি আলোচিত হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র জোটটিকে অনুরোধ করেছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে। দেশটি বলেছে, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ জোটটির মূলনীতির সঙ্গে খাপ খায় না।

এদিকে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি উৎপাদন হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে রাজনৈতিক মেরুকরণের। পশ্চিম এরই মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, দেশটি জ্বালানি তেলকে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ওপেক প্লাসের সর্বশেষ বৈঠকের বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রী সুহাইল আল–মাজৌরি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কৌশলগত, রাজনৈতিক নয়।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.