‘পুঁজিবাজারের গলদ বের করতে হবে’

অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেছেন, অতিতে ভুলগুলো থেকে পুঁজিবাজারের গলদ অ্যাড্রেস করতে পারলে বাজারটা ভালো হবে।

সোমবার (০৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০২২’ উপলক্ষে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সলীম উল্লাহ বলেন, কাঁচাবাজারকে এখন আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসি। কাঁচাবাজারে যারা আলু, পটল বিক্রি করে, তরি-তরকারি বিক্রি করে অথবা আরো ছোট খাটো ব্যবসা করে, তারা কিন্তু একসময় শেয়ারবাজারে চলে আসে। এটা আমাদের জন্য বিশাল পজেটিভ দিক ছিলো। শুধু যারা বাজার করে তারা নয় যারা গৃহবধূ তারাও এসেছে, অফিসে যারা কর্মচারি ছিলো তারা এসেছে। দাড়োয়ান থেকে শুরু করে যারা আছে সবাই এসেছিল।

তিনি বলেন, সবাই পুঁজিবাজারে ব্যবসা করছে আর রাতারাতি টাকা পয়সার মালিক হচ্ছে, খুব ভালো একটা জিনিস। কিন্তু হঠাৎ করে ফুস হয়ে গেলো। ১৯৯৬ সাল মনে আছে, তার কিছুদিন পর ২০১০ সাল। আমার মনে হয় খুঁজে বের করা দরকার, যে বাজারে পুঁজি বেচাকেনা করে সে বাজারটায় কেন, কারা বাজারে আসবে, কে বিক্রি করবে, কেন বিক্রি করবে? এসবগুলোর উত্তর যদি খুঁজে বেরাই, তাহলে আমাদের একটি সুন্দর পুঁজিবাজার সৃষ্টি হবে। এবং পুঁজিবাজারের অতীতের ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া খুব জরুরি। সেখানে কোথায় গলদ ছিল, সে গলদগুলো আমাদের বের করা এবং সে গলককে আমরা যদি ঠিক মতো অ্যাড্রেস করতে পারে তাহলে পুঁজিবাজারেটা ভালো হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে হলে বর্তমান সময়ে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫৩৫ ডলার হতে হবে। এর জন্য আমাদের বাড়তি বিনিয়োগ দরকার। সেই বিনিয়োগের মূল জায়গাই হলো পুঁজিবাজার। সেজন্য আমাদের এই বাজারকে উন্নত করতে হবে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের মূল বিষয় হলো মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। এটি আমাদের অর্জন করা খুবই জরুরি।

ঘর পোড়া গরু সিদুর দেখলে ভয় পায়! আর চুন খেয়ে মুখ পুড়লে দই দেখলেও মানুষ ভয় পায়! এটি আমাদের বাস্তব সত্য চিরন্তন বিষয়। সেই ১৯৯৬ আর ২০১০ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মানুষজনের আস্থা ও বিশ্বাস এখান থেকে চলে গেছে। যেভাসে সকল লোক এখানে ধাবিত হয়েছিল, মানুষ এসছিলো। এখন তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাদেরকে ফেরাতে হলে আমাদের চিন্তা করতে হবে। সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জকে কাজ করতে হবে এবং তারা সে কাজ করছে।

অর্থসূচক/এএম/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.