৮ মাসে ধর্ষণের শিকার ৫৭৪ শিশু

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই ৮ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ কন্যাশিশু। তাদের মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৪ জন।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জানুয়ারি-আগস্ট ২০২২: কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি এসব তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমের অভিনয় ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৪৯ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৪৩ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) কন্যাশিশু এবং ৮৭ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া যৌন হয়রানির স্বীকার হয়েছে ৭৬ জন। অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে তিনজন। অপহরণ ও পাচার হয়েছে ১৩৬ জন। এছাড়াও ২৮ জেলায় গত আট মাসে দুই হাজার ৩০১ জন কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৮ মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৮১ কন্যাশিশু। এ সময়ে ১৮৬ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। একই সময়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছে ১৩ জন, তাদের ৫ জন যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হত্যার শিকার হয়েছে। আলোচ্য সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন।

এতে আরও বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ধারা ২০(৩)-এ বলা হয়েছে, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করতে হবে। তবে, আইনে থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ২৪টি জাতীয় জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন দৈনিক পত্রিকার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.