শেষ ওভারে পাকিস্তানকে জেতালেন অভিষিক্ত জামাল

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ১৫ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন অধিনায়ক মঈন আলী। শেষ ওভার বোলিং করেন অভিষিক্ত আমের জামাল। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। এই জয়ে ৭ ম্যাচ সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।

শেষ ওভারের প্রথম দুই বলই ব্যাটারের জোন থেকে বেশ বাইরে করেন জামাল। তাতে কোনো রানই পাননি মঈন। তৃতীয় বলটিও একইভাবে করতে গেলে হয়ে যায় ওয়াইড। পুনরায় তৃতীয় বলটি জায়গামত আসলে ছক্কা মেরে দেন মঈন।

সমীকরণ দাঁড়ায় তিন বলে আট রানের। তারপর টানা দুটি ইয়র্কার করেন জামাল। মঈন পাঁচ নম্বর বলটিতে সিঙ্গেল নেন। শেষ বলে ছক্কা মেরে অবশ্য টাই করার সুযোগ ছিল ডেভিড উইলির সামনে। কিন্তু কিছুই করতে পারেননি তিনি।

বাবর আজমের দল জিতে যায় ৫ রানে। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ১৯ ওভারে ১৪৫ রান করে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৩৯ রানে থামতে হয় ইংলিশদের। পাকিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে ইনফর্ম মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে। ৪৬ বল খেলা এই উইকেটরক্ষকের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। এ ছাড়া ইফতেখার আহমেদ ১৫ ও জামাল ১০ রান করেন। এই তিন জন ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছাতেই পারেননি কেউই। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন মার্ক উড। দুটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইলি এবং স্যাম কারান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই একটু পর পর উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ৩৭ বলে অপরাজিত ৫১ রান করা মইনই দলটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এ ছাড়া ৩৫ বলে ৩৬ রান করেন ডেভিড মালান। শেষদিকে ১১ বলে ১৭ রান করেন কারান। পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট নেন হারিস রউফ। এ ছাড়া মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ইফতেখার ও জামাল নেন একটি করে উইকেট।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.