সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ডোপ টেস্ট চালু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক নিরাময়ে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছে সরকার। সামনে সকল পর্যায় সরকারি চাকরিতে প্রবেসের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালু করা হবে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মিডিয়াকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা জনবল বৃদ্ধি করছি। ল্যাব বৃদ্ধি করেছি। আমারা আইন শক্তিশালি করেছি।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলায়নতে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর উদ্যোগে আয়োজিত মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিক শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি উপস্থাপনা করেন জীল্লুর রহমান এবং মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের জেলে ৮০ থেকে ১ লাখ হাজতি আছে। যার ৬০ ভাগ মাদকের আসামি। আমরা অলাদা ট্রাইব্যুনাল চেয়েছি, যাতে মামলার জট কমিয়ে বিচার তরান্বিত করতে পারি। কারণ শাস্তি হলে মাদক গ্রহণ কমে যেত। আমরা সামনে ডোপ টেস্ট চালু করবো। মাদক সেবনকারী যেই হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না। সে যদি সরকারের ভেতরের কেউ হয় তাকেও ধরা হবে। সব খাতে কিছু খারাপ লোক আছে আমরা তাদের ধরছি,শাস্তি দিচ্ছি।

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান সরদার নাঈম বলেন, আমারা প্রাইভেট হাসপাতাল করতে গিয়ে দেখেছি, ১৫টি সেক্টের থেকে অনুমোদন নিতে হয়। রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার করতে একটি নন স্টপ কেন্দ্র করতে হবে। এটি একটি ক্রনিক ডিজিজ। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার দরকার। সর্বোপরি সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক সদস্য ডা. মুজাহিদ হক জানান, মাদকের জন্য মা-বাবার ভূমিকা বেশি। বেসরকারি খাতের চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

সাবেক বিজিবি প্রধান বলেন, মিয়ানমারে মাদকের কারখানা চালায় সামরিক বাহিনী। আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। যাদের ইজি মানি আছে তাদের ছেলেরা মাদক নেবে এটাই স্বাভাবিক। ঢাকায় এতোগুলো স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু খেলার মাঠ কোথায়?

জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, মাদক কোনো দেশ নিরাময় করতে পরবে না। ইংলিশ মিডিয়ামে মাদকের ব্যবহার বেশি, এরপর বাংলা মিডিয়াম। কিন্তু মাদ্রাসায় মাদক সেবনকারী কম। দেশে স্বাধীনতার নামে অপসংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে বেশি।

সেমিনারে আরও আলোচনা রাখেন ডা. মনজুর আহম্মেদ চৌধুরী,মিলুফার চৌধুরীর মনি, ঢাবি শিক্ষক ডা.রাসেদ আল মাহমুদ তালুকদার ,ডা. মেঘলা সরকার, নাইমুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরীর,শহিদুল ইসলাম হেলাল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.