ভারতে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধের আহ্বান পাক প্রধানমন্ত্রীর

ভারতে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

পাক প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ওই অঞ্চলের জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার দেয়া উচিত। বর্তমানে পাকিস্তানে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সর্বাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে। বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের দুর্দশার একটি বড় কারণ হচ্ছে বিভিন্ন দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।

শাহবাজ শরীফ তার ভাষণের অন্য অংশে কাশ্মীরসহ সমগ্র ভারতে মুসলমানদের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরে বিজেপি সরকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করায় সেখানে মুসলিম বিদ্বেষ ও অত্যাচার বহুগুণে বেড়ে গেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনাসহ তাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে মার্কিন সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা ওই হামলার জন্য আল কায়েদা ও তালেবানের হাত থাকার অভিযোগ তুলে এমনভাবে ইসলাম বিদ্বেষী প্রচারণা চালাতে থাকে যাতে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা যায়। খবর- পার্সটুডের

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশের ভূমিকার প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা থেকে বোঝা যায় মুসলিম দেশগুলো পাশ্চাত্যের এ ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে খুবই অসন্তুষ্ট। তার অসন্তুষ্টির বিষয়টিকেই তিনি জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে তুলে ধরেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে তিনি পাঁচটি মুসলিম দেশের মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মুসলিম বিদ্বেষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বেই এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.