‘সৃষ্টিকর্তা তাদের মঙ্গল করুক’, সমালোচকদের উদ্দেশে রিজওয়ান

সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ইভেন্টগুলোতে সেভাবে পারফর্ম করতে পারছে না পাকিস্তান। দলটির ব্যর্থতার দায় দেয়া হচ্ছে দুই ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। কেননা দুজনই বেশ ধীরগতিতে ইনিংস গড়তে পছন্দ করেন। মাত্র একদিন আগেই সমালোচকদের পাল্টা সমালোচনা করেন বাবর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির পর এই ব্যাপারে মুখ খুললেন রিজওয়ান।

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অফ-ফর্মে থাকায় মূলত সমালোচনা চলে বাবরকে নিয়েই। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে মোট ৬ ইনিংসে বাবরের মোট রান ছিল ৬৮। এমন পারফরম্যান্সে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারিয়ে তিনে নেমে গেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট অবশ্য একটুও খারাপ নয় বাবরের। যা প্রায় ১২৯ এর কাছাকাছি। যদিও পাওয়ার প্লে এবং প্রথম ১০ ওভারে বাবরের স্ট্রাইক রেট নিয়ে ক্রমাগতই চলে সমালোচনা। একইসঙ্গে রিজওয়ানের সাথে তার ওপেনিং জুটি নিয়েও থাকে সমালোচনা। যদিও রান পাওয়ায় রিজওয়ানকে নিয়ে সেভাবে সমালোচনা হয় না।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৯.৩ ওভারে ৮৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন বাবর ও রিজওয়ান। যেখানে ২৪ বলে মাত্র ৩১ রান করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। এই ম্যাচ শেষেও নিজেদের ‘স্ট্রাইক রেট’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্ন শুনতে হয় রিজওয়ানকে। জবাবে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক বলেন, ‘আমি জানি না সাবেক ক্রিকেটাররা মন্তব্য করে নাকি মিডিয়া করে। সৃষ্টিকর্তা তাদের মঙ্গল করুক। যারাই আমাদের নিয়ে বিতর্ক করে তাদের আমি একটা কথা বলতে চাই। আমাদের মধ্যে কেউ যদি সম্পূর্ণ সততা না নিয়ে দেশের হয়ে খেলে তাহলে সে অসম্মানিত হবে। যে আমাদের নিয়ে কথা বলে, সেও অসম্মানিত হবে। দেশের প্রতি সৎ হওয়া আমাদের কর্তব্য। তারা পাকিস্তানের সেরাটা নিয়েই চিন্তা করছে। আমরাও আমাদের নিজেদের সেরাটা নিঙরে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমি নিজেও ভুল করি, সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি। অধিনায়ক নিজেও উন্নতির চেষ্টা করে, সবাই আসলে করে।’

এর আগে সাবেক পেসার ও পিএসএলের দল লাহোর কালান্দার্সের কোচ আকিব জাভেদ বলেছিলেন, করাচি কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ থাকলে বাবরকে আউটই করতে চান না লাহোরের বোলাররা। যেন দলের প্রয়োজনীয় রান রেট বেড়ে যায়।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ছয় উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। এই হারে সাত ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেছে তারা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.