‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি কমছে’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার যে কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছিল, ধীরে ধীরে তা কেটে যেতে পারে। এবারের মত মন্দার ঝুঁকি এড়াতে পারে বিশ্ব।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মর্গান অ্যান্ড চেজ এর এক প্রতিবেদন এই আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

খবর ব্লুমবার্গের।

খবর অনুসারে, জ্বালানী তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য ধীরে ধীরে কমতে থাকায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা সহনীয় হয়ে উঠছে বলে জেপি মর্গানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর মূল্যস্ফীতি কমতে থাকায় কমে আসছে বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি।

এর আগে আগস্টের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপর এক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের এক নোটে মন্দার ঝুঁকি কমে আসার আভাস দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের পণ্য সরবরাহ চেইন অনেক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যতম খনিজ ও খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেনের রপ্তানি অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে রাশিয়ার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের জ্বালানী তেল রপ্তানি অনেকটা কমে যায়। ইউরোপের দেশগুলো তাদের চাহিদা পূরণে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য উৎসগুলোর উপর ঝুঁকে পড়ে। চাহিদার তুলনায় যোগান কমে যাওয়ায় তেলের দাম তুঙ্গে উঠে যায়। সব মিলিয়ে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি নতুন রেকর্ড করে। কোনো কোনো দেশে মূল্যস্ফীতির হার ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উঠে যায়। আর তাতেই বিশ্ব তীব্র অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে যাচ্ছে বলে চারদিক থেকে রব উঠে। দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে প্রবল আশংকা। জেপি মর্গানের নতুন রিপোর্ট তাই একটু স্বস্তির সুবাস ছড়িয়েছে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.