রাজধানীতে আজও ‘ভাড়া নৈরাজ্য’ বন্ধে বিআরটিএ’র অভিযান

গণপরিবহনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরই গণপরিবহনের ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির পরও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। তাই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না সে বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে বিআরটিএ। এ সময় কয়েকটি বাসকে আটক করে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট।

গণপরিবহনের বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র চলমান অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বাসের ওয়েবিলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় সংস্থাটি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওয়েবিল পরিচালনা করছেন পরিবহন মালিকরা। এছাড়া, ৫ টাকা তেলের দাম কমার পর তারও প্রভাব পড়েনি গণপরিবহনের ভাড়া আদায়ে।

শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর ছয়টি জায়গায় অভিযান শুরু করে বিআরটিএ। এ সময়, গাড়িতে বাড়তি ভাড়া আদায়, যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় বেশকিছু পরিবহনকে জরিমানা করা হয়।

যাত্রীদের অভিযোগ, এখনও ভাড়া আদায়ে সেচ্ছাচারী পরিবহন মালিকেরা। ভাড়ার চার্ট না দেখিয়েই আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। একজন যাত্রী জানান, কাওরান বাজার থেকে শেওড়া পর্যন্ত ২০ টাকার ভাড়া ২৫ টাকা আদায় করেন কন্ট্রাকটর। নতুন নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা মিলিয়ে এই দূরত্বে ২০ টাকা ভাড়া দেখতে পান বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাঁচ টাকা বেশি ভাড়া নেওয়ায় তাৎক্ষণিক বাস চালককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ভাড়া কমানোর পর বিআরটিএ নির্ধারিত নতুন ভাড়ার তালিকা না থাকায় ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসের চালককে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ওয়েবিল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও, এখনও সেটা মানছে না পরিবহনগুলো। আর তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানো হলেও, সে নির্দেশনা এখনও কার্যকর হয়নি।

বিআরটিএ বলছে, তাদের অভিযানের ফলে, কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে সড়কে। বিআরটিএ’র এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানানো হয় এবং এর ফলে রাজধানীতে গণপরিবহন শৃঙ্খলিত হবে বলেও আশা সংস্থাটির।

অর্থসূচক/এইচএআই/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.