বিধিমালা গঠন না করেই চলছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন

বাংলাদেশে মোট ৫৪টি ধারার মধ্যে পাঁচটি ধারায় বিধি গঠন হয়েছে এক দশকে। বাংলাদেশের আইনে শালিককে একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বিধিমালা না থাকায় চলচ্চিত্র বা বিজ্ঞাপনে বন্যপ্রাণী উপস্থাপন কেমন হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় শালিক পাখি খাঁচায় বন্দি ও পুড়িয়ে খাওয়ার দৃশ্য থাকায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৩৮ ও ৪৬ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ মামলা করে বন বিভাগ। ধারা দুটিতে বলা আছে- দেশি ও পরিযায়ী পাখি বন্দি ও খাওয়ার অপরাধে ছয় মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা।

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে করা হলে- তার পরিচালক, ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীদের জেল জরিমানা করারও দণ্ড আছে।

পরিবেশ আইনবিদরা বলছেন, একদশক আগে আইন পাস হলেও এখনো বিধিবিধান করেনি বন বিভাগ। আবার চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপন নির্মাণে বন্যপ্রাণী কিভাবে উপস্থাপন করা হবে তারও কোনো নির্দেশনা নেই।

তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৫৪টি ধারার মধ্যে হরিণ, হাতি, কুমির, বিদেশি পাখি পোষা ও ইউনিট গঠনের বিধিমালা আছে। বন্যপ্রাণী গবেষকরা বলছেন, আইন প্রয়োগ করতে হলে আগে বিধিমালা ঠিক করা জরুরি।

বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই প্রাণী সংরক্ষণ আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিতের পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।

অর্থসূচক/এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.