সৌম্য-সাব্বির-নাইমকে নিয়ে হতাশ হার্শা

শুরুতে আলো ছড়ালেও আচমকা হাওয়ায় যেন নিভে গেছে সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ারের প্রদীপ। ভিন্ন পথে হাঁটতে পারেননি সাব্বির রহমান কিংবা নাইম শেখও। যদিও এই দুই ব্যাটার এখনও দলে আছেন। তবে জায়গাটা নড়-বড়ে। ছিটকে যেতে পারেন যেকোনো সময়। অথচ তাদের সবারই ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। শুধুই বাংলাদেশের ক্রিকেট নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের সম্পদ হতে পারতেন তারা। বাংলাদেশের এই ব্যাটারদের এমন অসময়ে ডুবে যাওয়ায় হতাশ হার্শা ভোগলে।

বর্তমান বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে একজন ধারাবাহিক ওপেনার রীতিমতো সোনার হরিণ। যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওপেনিং সমস্যা সমাধানে টিম-ম্যানেজমেন্টের যেন ঘুম হারাম। একটা পরিসংখ্যান দলের এই দৃশ্যটা আরও পরিষ্কার করবে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ যতটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে, এই সময়ে তার থেকে বেশি ব্যাটার দেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করেছেন। অথচ ধারবাহিক হতে পারেননি কেউই।

টি-টোয়েন্টিতে ভারত সফর দিয়ে অভিষেক হয়েছিল নাইমের। অভিষেক ম্যাচেই ২৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। এরপরের ম্যাচে ৩৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে ৮১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। আর তাতেই হার্শার নজরে আসেন এই ওপেনার।

এক আলোচনায় এই জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ওদের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারকে (লিটন দাস) ছাড়া খেলছে। তাদের আরেকজন ক্রিকেটার ছিল না? মোহাম্মদ নাইম! ওই যে ভারতের সঙ্গে দিবা-রাত্রির টেস্টের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছিল। দলের পক্ষে সে একটা ম্যাচে আশির্ধো (৮১ রান) ইনিংস খেলেছিল। তাকে আমার খুব ভালো লেগেছিল। খুবই প্রতিভাবান মনে হয়েছিল। মনে হচ্ছিল সে দলে স্থায়ী হবে।’

টি-টোয়েন্টিতে সৌম্যের অভিষেক হয়েছিল ২০১৫ সালে। অভিষেক ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তারপরও তার সামর্থ্যের উপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সেটার প্রতিদানও দিতে পারেননি তিনি। পরের সিরিজেই সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তবে সেই ফর্ম বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননি।

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দলে ছিলেন সৌম্য। কিন্তু মরুর বুকেও ব্যর্থ এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এরপর থেকে আর দলে সুযোগ পাননি তিনি। দল থেকে ছিটকে পড়া সৌম্যকে নিয়ে হতাশ হার্শা। তিনি বলেন, ‘সৌম্য সরকারকে যখন প্রথম দেখেছিলাম তখনও মনে হচ্ছিল সেও স্থায়ী হবে কিন্তু সে সেটা পারেনি।’

দীর্ঘ তিন বছর পর দলে ফিরেছেন সাব্বির। তবে সেটা যে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রামণ করে তা কিন্তু নয়। এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটারের অভাব বোধ করায় আবারও সাব্বিরের কাছে ফিরেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ তিনি হতে পারতেন দলের নিয়মিত সদস্য। এমনকি তার বিগ হিটিং সামর্থ্য দলের জন্য হতে পারতো বাড়তি পাওয়া।

সাব্বির প্রসঙ্গে হার্শা বলেন, ‘সাব্বির রহমানের কি হয়েছে। সে আরেকজন উদাহরণ হতে পারে। যাকে সবাই ভেবেছিল অনেক ভালো ক্রিকেটার হবে কিন্তু সে কোথায়! সে একজন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার যে কিনা লেগ স্পিনও করে।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.