মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া দম্পতিসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচার শুরু হলো।
রোববার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ ৮ নম্বর আদালতের বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৩১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।
মামলায় অপর চার আসামি হলো- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
গত ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অস্ত্র মামলা ছাড়া বাকি মামলাগুলো হলো শের-ই-বাংলা নগর থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.