সমতায় ফিরল নিউজিল্যান্ড

ফিন অ্যালেনের ৯৬ ও ড্যারিল মিচেলের ৪১ রানের ইনিংসের সুবাদে মাত্র ২১২ রানের পুঁজি পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টের দারুণ বোলিংয়ে এই রানই করে দেখাতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। ৫০ রানের জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল নিউজিল্যান্ড।

বার্বাডোসে জয়ের জন্য ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোল্টের লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে থাকা টম লাথামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোন রান না করা কাইল মেয়ার্স। তিনে নামা শামাহ ব্রুকসকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান সাউদি। ব্রেন্ডন কিং-শেই হোপ-নিকোলাস পুরান-জেসন হোল্ডাররা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ২৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। কেচি কার্টার ও ইয়ানিক কারিয়াহ মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও জুটি বড় হতে দেয়নি কিউইরা। মার্টিন গাপটিলের দারুণ থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন ১৬ রান করা কার্টার।

আকেল হোসেনও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর অবশ্য কারিয়াহ এবং আলজারি জোসেফ মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। নবম উইকেটে মাত্র ৪৩ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন তারা দুজন। এরপর নিজেরও পঞ্চাশ পূরণ করেন কারিয়াহ। ৭৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান তিনি। কারিয়াহ হাফ সেঞ্চুরি পেলেও ৪৯ রানে ফিরে যেতে হয় জোসেফকে। সাউদির লো ফুলটস বলে জোসেফ বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে কারিয়াহর সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি। জোসেফ ফেরার পর ৫২ রানে আউট হন কারিয়অহ। তাতেই হার নিশ্চিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিউইদের হয়ে সাউদি চারটি এবং বোল্ট তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারালেও ২১২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন অ্যালেন। এ ছাড়া মিচেল ৪১ এবং মিচেল স্যান্টনার ২৬ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কেভিন সিনক্লেয়ার চারটি এবং হোল্ডার নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.