ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হারলে এমন প্রশ্ন উঠত না: তামিম

কমাস আগেই সাউথ আফ্রিকা থেকে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশও করেছে তামিম ইকবালের। সাউথ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দাপট দেখালেও র‌্যাঙ্কিংয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে বড় জয়ে কেবল হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে সফরকারীরা।

জিম্বাবুয়ের কাছে ৯ বছর পর সিরিজ হারায় হাজারটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ক্রিকেটার কোচ এবং অধিনায়ককে। কোথায় উন্নতি করতে হবে সেটি নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। আধুনিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলার ধরন কতটা মানানসই সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘উন্নতির কথা বলতে গেলেই একঘেয়ে হয়ে যায়—হারলেই এটা করা উচিত, ওটা করা উচিত। তবে এখন যেটি বলব, সেটি আপনাদের পছন্দ হতেও পারে, না-ও পারে। আমরা যদি এ সিরিজটা—যেভাবে আমরা হেরেছি…যদি অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা এমন শীর্ষস্থানীয় দলের সঙ্গে হারলে এমন প্রশ্ন উঠত না। হয়তোবা দেখা গেল, (বিরাট) কোহলি বা (স্টিভ) স্মিথ এমন ইনিংস খেললে আমরা মেনে নিতাম—ওরা বড় প্লেয়ার, এমন ইনিংস খেলতেই পারে, আমাদের কিছুই করার ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে, রাজা এবং চাকাভার সঙ্গে অন্য ছেলেটা যে ইনিংসগুলো খেলল, এটা প্রমাণ করে, ওয়ানডেতেও অনেক উন্নতি করার দরকার আমাদের। ওদের খাটো করছি না। আমাদের দিক থেকে ভাবলে, অনেক কিছু করার বাকি। ওরা করলে অন্যরাও করতে পারবে আমাদের সঙ্গে। এটি আমাদের সবার জন্যই শিক্ষা।’

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটারদের খেলতে না পারার দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনাহীন বোলিংয়ে সিরিজ খুইয়েছে তামিমরা। ৯ বছর পর সিরিজ হারলেও কোনো অজুহাত দিতে চান না তামিম। বাংলাদেশর ওয়ানডে অধিনায়ক মনে করেন, ‘যখনই দল হারে, বিশেষ করে আমরা, তখনই উন্নতির কথা তুলে আনি। এ সিরিজ জেতা উচিত ছিল, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কোনোভাবেই অজুহাত দিতে পারব না। জিম্বাবুয়ে আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.