আবারও বিজয়ের হাফ সেঞ্চুরি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছে টাইগাররা। এই ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই মূল লক্ষ্য তাদের। এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা বাংলাদেশের ৪০০তম ওয়ানডে।

আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচে আগ্রাসীভাবে ব্যাট চালাননি তামিম ইকবাল। কিছুটা রয়েসয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। সঙ্গী এনামুল হক বিজয়ও খেলছেন একই ব্যাকরণে। জিম্বাবুয়ের পেসার রিচার্ড এনগারাভাকে দেখেশুনে খেলেন দুজন। বাংলাদেশের ওপেনারদের এ দিনও অস্বস্তিতে রাখেন এনগারাভা। তাকে খেলতে যে তামিম-বিজয়রা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না, সেটা বোঝাই গেছে তাদের শরীরী ভাষায়। মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বল-রানের খানিকটা সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টায় থাকেন ওপেনাররা। পাওয়ার প্লে’তে ডট বলই বেশি খেলেন তারা।

নবম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিজয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হন আগের দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো তামিম। এ দিন ৩০ বলে তিন বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন তামিম। তামিম ফেরার পর ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। দশম ওভারে ব্র্যাড ইভান্সের করা প্রথম বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তুলে দেন শান্ত। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি ওয়েসলি মাধেভেরে। শুন্য রানে ফিরে যান শান্ত।

একই ওভারের চতুর্থ বলে ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে আপার কাট খেলেছিলেন তিনি। দুর্দান্ত এক ক্যাচে তার প্যাভিলিয়নে ফেরা নিশ্চিত করেন এনগারাভা। শুন্য করেছেন মুশফিকও। সবমিলিয়ে আট বলের মধ্যে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এদিকে দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং বিজয়। একটু পরই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিজয়। ৪৮ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর আবারও হাফ সেঞ্চুরি পেলেন বিজয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.